বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলিদিরিমের আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বৈঠকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলিদিরিম বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে থাকবে তুরস্ক। সেই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পক্ষে থাকার আহবান জানান তিনি। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে বাংলাদেশ-তুরস্ক এবং একে অপরের পাশে থাকবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশে সফররত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত পৌঁনে ৯টায় তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সোয়া ১০টার দিকে তিনি ঢাকার দিকে রওয়ানা হন।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলিদিরিম তিন দিনের সফরে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছান। রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন দেখার পাশাপাশি এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে তিনি এ সফরে এসেছেন। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার সফরে যাবেন। সোমবার রাতে একটি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়া তিনি এ সফরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর এমওইউ সই হবে। সেখানে যৌথ বিবৃতি পাঠ করা হবে। এছাড়া তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন। ঢাকায় তুরস্কের দূতাবাসে নিজস্ব কর্মসূচিও রয়েছে।
বুধবার (২০ডিসেম্বর) তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তুরস্ক এক লাখ ২৫ হাজার আবাসনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থা করবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশ করার শুরুর দিকেই তুরস্কের ফার্স্টলেডি বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।